আরও ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

পড়াশোনা

(নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ পূরণে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। এরই মধ্যে আরও ২০ হাজার পদ শূন্য হয়েছে। এই নতুন শূন্যপদ পূরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বৃহম্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

২০০৫ সাল থেকে নিবন্ধন পরীক্ষা শুরু করেছে এনটিআরসিএ। এ পর্যন্ত ১৩টি পরীক্ষা সমপন্ন করলেও মামলাজনিত কারণে প্রায় দুই বছর ধরে কোনো নিয়োগই দিতে পারছে না। ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরাসরি নিয়োগের কথা থাকলেও এনটিআরসিএ মামলার অজুহাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমপন্ন করতে পারেননি।

১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে শুধু পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ সমপন্ন না করাটা মোটেই কাম্য নয়। ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকের্টের নির্দেশে ১-১৩ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে এনটিআরসিএ ১০-৭-২০১৮ তারিখে একটি সমন্বিত জাতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করলেও এখনো শূন্য পদসমূহে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বর্তমানে যাচাই-বাছাই চলছে। চলতি মাসের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। সেখানে কে কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন তা উল্লেখ করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ দফায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পাবেন।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে আরও ২০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে গেছে। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তালিকা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করা হবে। চলতি বছরের আগস্টে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদের আবেদন শেষে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদানের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

সূত্র জানায়, তৃতীয় দফায় ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিতে ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছে এনটিআরসিএ। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত যেসব পদ শূন্য হবে তার বিষয়ভিত্তিক তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদের তালিকার হার্ডকপি এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ই-মেইলেও শূন্যপদের তথ্য পাঠানো যাবে। তবে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী নবসৃষ্ট যেসব পদে এখনও শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ হয়নি সেসব পদ শূন্য হিসেবে দেখানো যাবে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।