গ্রিন হাউস গ্যাস শনাক্তকরণ প্রকল্প বাতিল করলেন ট্রাম্প

এশিয়া প্যাসিফিক লিড নিউজ

(ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র) মাহাকাশে গ্রিন হাউস গ্যাস শনাক্তকরণে নাসার একটি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। অকারণে বহু অর্থের হচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্প বাতিল করেছেন। এ কার্যকমের আওতায় গ্রিন হাউস গ্যাস কার্বন ও মিথেনের মাত্রা শনাক্ত করত প্রতিষ্ঠানটি। এতে বার্ষিক ১ কোটি ডলার ব্যয়ে হত। এসব গ্যাস বৈশ্বিক উঞ্চায়নের কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থার এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। খবর এএফপির।

কার্বনের উৎস ও পরিমাণ নির্ণয়ে এবং পৃথিবী বায়ুমণ্ডলে কার্বনের প্রবাহ শনাক্ত ও হাইরেজুলেশন মডেল তৈরির জন্য পরিচিত কার্বন মনিটরিং সিস্টেম (সিএমএস)। বন নিধন, চিরহরিৎ বনে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা শনাক্তে ব্যবহার হত এ সিস্টেম। সিএসএস সিস্টেম বাতিল করার খবর প্রথম সায়েন্স জার্নালে প্রকাশ করা হয়। জার্নালে বলা হয়, এ কার্যক্রম বাতিলের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে অনেক আগে থেকেই ট্রাম্প নাসার জলবায়ু সম্পর্কিত গবেষনায় অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তবে সাইন্স ম্যাগাজিন বলেছে, একরকম চুপিসরেই এ প্রকল্প বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস।

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। পূর্বতন নাকা (ন্যাশনাল অ্যাডভাজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স) অবলুপ্ত হয়ে ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাক্ট অনুসারে নাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্কিন মহাকাশ যাত্রায় এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বিশেষ করে অ্যাপোলোর চন্দ্রযাত্রা, স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন ও স্পেস শাটল প্রভৃতিতে লক্ষ্য করা যায়। নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সাথে যুক্ত ৫টি সংস্থার একটি।

জলবায়ু সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্প থেকে একে সরে আসছেন ট্রাম্প। গত বছরের জুন মাসে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার ঘোষণা দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বিশ্বের সমালোচনার মুখে রয়েছেন ট্রাম্প।

ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, দু’বছরের মধ্যে  বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। আর সে মোতাবেক, বিশ্বের ১৯৫টি দেশের বাতাসে কার্বন দূষণের মাত্রা কমাবার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় শিল্পোন্নত সাত দেশ। প্যারিস চুক্তিতে এ পর্যন্ত ১৮৭টি দেশ স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর না করা দুটি দেশ হলো সিরিয়া ও নিকারাগুয়া। ট্রাম্পের দাবি, ওই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি ডলার হারাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রায় ৬৫ লাখ মার্কিন জনগণ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে। এর জায়গা চীন ও ভারত দখল করে নিচ্ছে বলেও জানান ট্রাম্প।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।