এবার বাহরাইনের সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে সৌদি জোট। বাদশাহ হামাদ বিন ঈসাকে ক্ষমতায় রেখে প্রধানমন্ত্রীকে শেখ খলিফা বিন সালমান আল খলিফাকে সরিয়ে দিতে চান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। যুবরাজের মোহাম্মদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন যায়েদ।
এর আগে লন্ডন থেকে প্রকাশিত আল-কুদ্স আল-আরাবি পত্রিকা জানায়, বাহরাইনের বাদশা হামাদ বিন ঈসা চলতি বছরের শেষ নাগাদ অনুষ্ঠেয় এক নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী খলিফাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চান। লন্ডনে বসবাসরত বাহরাইনের সাংবাদিক আদেল মারজুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
১৯৭১ সালের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খলিফা। তাকে দেশটির একজন সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার প্রতি সমর্থন রয়েছে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ। তাকে পছন্দ করতেন সৌদি আরবের সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাগ বিন আবদুল আজিজ। বর্তমান বাদশা সালমানও তাকে পছন্দ করেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে মিডিল ইস্ট আই জানিয়েছে, বাহরাইনের শাসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী খলিফাকে পছন্দ উপসাগরীয় অঞ্চলের নেতাদের। অন্যদিকে আমির হামাদকে ‘দুর্বল’হিসেবে দেখেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাদশা হামাদের পক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খলিফাকে পদচ্যুত করার চেষ্টা করছেন সৌদি ও আমিরাতের দুই যুবরাজ। বাইরাইনে নিজেদের প্রভাব আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো।
ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উপ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে সৌদি আরব ও আমিরাতের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেনের উপর সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি জোট। এতে প্রায় দশ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। এছাড়া গত বছর থেকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষু্দ্র দেশ কাতারের উপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে এ জোট। তবে কাতারের উপর সৌদি জোটের এ অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে।