একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেনেড নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এবার অন্তর্ভুক্ত করেছে নতুন একটি খেলা, যার নাম গ্রেনেড নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা। তবে ছাত্রদেরকে যুদ্ধে পাঠাতে নয়, যুদ্ধের ইতিহাস জানতে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শাংজি প্রদেশের তাইউয়ান শহরের নর্থ ইউনিভার্সিটি অফ চায়না নিয়েছেএ উদ্যোগ। আগামী মাসে ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড’ ইভেন্টে নতুন এ খেলাটি রাখা হচ্ছে। এ খেলায় ৫০০ গ্রাম ওজনের গ্রেনেড ছুঁড়ে মারবেন প্রতিযোগীরা। চীনের ইয়থ ডেইলি পত্রিকার বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক লি জিয়ান শি জানান, তারা লক্ষ্য করেছেন, এক সময়ের জনপ্রিয় গোলক নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার দিকে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো আগ্রহ আর নেই। এখন গ্রেনেড ছোঁড়া প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়ার পর অনেকই আগ্রহী হয়ে নাম নিবন্ধন করেছে। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ দেরিতে আসায় নিজের নাম নিবন্ধন করতে পারেনি। সেজন্য তাদের খুবই হতাশ মনে হয়েছে।’
চীনের ইয়থ ডেইলি পত্রিকাটি বলছে, উ জিয়াংহ্যাং নামের একজন ছাত্রের কাছ থেকেই শুরুতে আইডিয়াটি এসেছিল। সে নিজেই চিঠি লিখে এ ধরনের নতুন কার্যক্রমের প্রস্তাব দেয়। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘সাংবাদিকদের ওই শিক্ষার্থী জানায়, তিনি বিভিন্ন জিনিস ছুঁড়ে মারতে পছন্দ করেন। কিন্তু গত বছর প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে সে বুঝতে পারে যে গোলক নিক্ষেপ খেলাটির সঙ্গে সে একদমই মানাতে পারছে না।’
কিন্তু প্রতিযোগিতায় তারা যে গ্রেনেডটি ছুঁড়বেন সেটি আসলে একটি রেপ্লিকা এবং এটি কাঠের একটি দণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানরা এভাবে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারত এবং পরে সেটি চীনা সামরিক বাহিনীও চর্চা করেছে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়। এর মাধ্যমে ইতিহাসকে জানারও একটি সুযোগ ঘটবে শিক্ষার্থীদের। ১৯৪১ সালে নর্থ ইউনিভার্সিটি অফ চায়না যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এর নাম ছিল তাইহাং ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল। তখন এটি ছিল চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি ঘাঁটি।