মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে রাতের আঁধারে অবৈধ পন্থায় খোদাই ষাড় জবাই করে মাংস বন্টন ও বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক জহিরুল ইসলাম (লিটু)’র বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তবে বিষয়টি জহিরুল ইসলাম লিটু অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, গেলো শনিবার সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে জহিরুল ইসলাম (লিটু)’র নেতৃত্বে রবিন মিয়া, সিয়াম গাজী, হারুন শেখসহ ১২/১৩ জন উপজেলার নিমতলা থেকে খোদাই ষাড় ধরে পশ্চিম ব্রজেরহাজী গ্রামের বাবুল চেয়ারম্যানের বাড়ীর দক্ষিন পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এনে ওই ষাড়টি জবাই করে।
পরে ওই ষাড়ের মাংস স্থানীয় বিক্রমপুর জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায় দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জহিরুল ইসলাম লিটুসহ তার লোকজন নিতমলার দিক থেকে একটি বড় ষাড় ধরে আনতে দেখেছি।
পরে শুনলাম ওই ষারটি নাকি জবাই করা হয়েছে। শুনেছি ষাড়টি জবাই করার পর ১২ মন মাংস হয়েছে। এইও শুনলাম ১৫ কেজি মাংস নাকি মাদ্রাসায় দেওয়া হয়েছে।
বিক্রমপুর জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক হাফেজ মাওলানা এমদাদুল্লাহ জানান, আমি ছুটিতে আছি। শুনেছি কোন এক লোক কিছু মাংস মাদ্রাসায় দিয়ে গেছে। কিসের মাংস এবং এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
বাসাইল ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তপছির আল বাহার জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা আমি শুনিওনি এবং জানিওনা।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক জহিরুল ইসলাম (লিটু) জানান, খোদাই ষাড় জবেহ করে বিক্রি করা এবং বিলি করার বিষয়টি আমি অবগত না। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত করে বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।