সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক বৈঠ

এশিয়া প্যাসিফিক লিড নিউজ

(সিঙ্গাপুর) আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বহুদিনের পুরোনো সংস্কার আর চর্চা ভাঙতে পারার ফল ঐতিহাসিক সিঙ্গাপুর বৈঠক। সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেলে চলা বৈঠকে, বিরতির ফাঁকে বেরিয়ে এ কথা বলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এসময় তার সাথেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বৈঠকের ব্যাপারে সন্তোষ জানান তিনিও।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় ঐতিহাসিক এ বৈঠক। প্রথম দফায় দু’নেতার একান্ত বৈঠক চলে প্রায় ৪৮ মিনিট। এরপর সহযোগীদের নিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় বৈঠক। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের এ বৈঠক থেকেই আসবে কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, কোরীয় যুদ্ধের অবসান এবং সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির ঘোষণা।

কোরীয় যুদ্ধের পরবর্তী ছয় দশকেরও বেশি সময়ে এই প্রথম কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার। বৈঠকের সাফল্য নিশ্চিতে সোমবারই প্রাথমিক আলোচনা সেরে নেন ট্রাম্প ও কিমের সফরসঙ্গীরা। বৈঠক দু’দিনে গড়াতে পারে এমন ধারণা থেকে সে প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হয়েছে। তবে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে কিম জং উন এবং সন্ধ্যায় ট্রাম্প সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন।

বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার বোন কিম ইয়ো জং রয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স অংশ নিয়েছেন।

বৈঠকের শুরুতেই হাত মেলন কিম ও ট্রাম্প। ১২ সেকেন্ড পরস্পরের হাত ধরে রেখে বিশ্বকে নতুন যুগের সূচনার ইঙ্গিত দেন তারা। বৈঠক কক্ষে প্রথমে প্রবেশ করেন কিম জং। তিনি সেখানে ট্রাম্পের জন্যে অপেক্ষা করেন। পরে ট্রাম্প সেখানে প্রবেশ করলে তাকে স্বাগত জানান। উষ্ণ অভিবাদন জানান একে অপরকে।  পরে একান্তে কথা বলেন দ্ইু নেতা। বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্প বলেন, এটা খুবই ভালো বৈঠক হবে। আর কিম বলেন, এ পরিস্থিতি তৈরি সহজ ছিলো না।   এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।